Home News মোবাইল মেরামত নীতিমালা চান সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা

মোবাইল মেরামত নীতিমালা চান সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা

0

আলাউদ্দিন আলিফ, ব্যুরো চিফ, দৈনিক সচিত্র মৈত্রী

ঢাকা : মোবাইল মেরামত, সফটওয়্যার পরিবর্তন বা সংযোজনের জন্য এখনো কোন নীতিমালা প্রণিত হয়নি। অথচ মোবাইল প্যাটার্ন লক অথবা কোন কারণে লক হয়ে গেলে মোবাইল মেরামতে নিয়োজিত টেকনিশিয়ানরা মোবাইল ফ্ল্যাশ করতে হয়। এতে অনেক সময় মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি (আইএমইআই) নাম্বার নষ্ট হয়ে যায়। এতে মোবাইলে নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। এছাড়াও মোবাইল ঠিক করাতে আসা গ্রাহকদের পরিচয় পত্র প্রদান বা মালিকানা উপস্থাপনের ক্ষেত্রেও কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় মোবাইল টেকনিশিয়ানরা এই বিষয়গুলো জোর দাবি করে গ্রহণ করতে পারেন না।

এসব সমস্যা সমাধানের জন্য এবং এ পেশায় নিয়োজিতদের পেশাগত মান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, চলমান সংকট উত্তরন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনিকে অপরাধ দমনে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশ ও দশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য নীতিমালার দাবি করে এ পেশায় জড়িত পেশাজীবীরা ১৭ অক্টোবর (শনিবার) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ একটি রেস্টুরেন্টে  মত বিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মাসুদুর রহমান খানকে আহবায়ক ও হাজবুল আলম জুলিয়েটকে মহাসচিব করে ১১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আহবায়ক কমিটির মহাসচিব হাজবুল আলম জুলিয়েট জানান, ১০-১২ বছর আগে একজন প্রকৌশলী মোবাইল সার্ভিসিং ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমএসইএবি) নামে একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু এই সংগঠনে প্রকৌশলী বলে যাদের যুক্ত করা হয়, তারা প্রকৃতপক্ষে কেউই প্রকৌশলী নন। সাধারণত মোবাইল ফোন মেরামত যারা করেন, তারা কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে অথবা জ্যেষ্ঠ টেকনিশিয়ানের কাছে শিক্ষানবীশ হিসেবে থেকে এই বিদ্যায় পারদর্শী হন। এই খাতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাউকে প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার অধিকার কোন ব্যক্তির নেই। তবে কেউ যদি মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ উচ্চতর ডিগ্রি নেন, তিনি নিজেকে প্রকৌশলী হিসেবে দাবি করতে পারেন। তবে সংগঠনের নামকরণে প্রকৌশলীদের সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়া মূলত উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাই আমরা মোবাইল টেকনিশিয়ানদের জন্য এমন একটি সংগঠন গঠন করতে চাই যে সংগঠন এই খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকার, পেশাগত উন্নয়ন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনিকে পুরোপুরি সহায়তা প্রদানে সক্ষম হবে।

মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই এবং বেআইনি বিক্রি বন্ধে দেশে আইএমআই রেজিষ্ট্রেশন সেন্টার নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২২ জানুয়ারি বিটিআরসিতে স্থাপিত ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডাটাবেজ (এনএআইডি) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উদ্বোধন করেন। এই ডাটাবেজকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নতুন এই সংগঠনটির মহাসচিব জুলিয়েট বলেন, আইএমইআই ডাটাবেজ গঠন করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এ ব্যাপারে আমরাও সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করবো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ১৭,১৮,২২,৩৫,৪৪ এবং ৪৬ ও ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪২০,৪১৩,৪৬৮ এবং ৪৭১ অনুসারে মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন, সংযোজন বা সফটওয়্যার মডিফিকেশন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের মোবাইল বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে যদি আইএমইআই নাম্বার নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কি নীতি অনুসরণ হবে সে ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। আমরা চাই এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকুক।

আলোচনা সভায় সারাদেশের মোবাইল মেরামত পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করবেন বলে জানানো হয়।

মৈত্রী/ এএ

মূল খবর: মোবাইল মেরামত নীতিমালা চান সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here